বর্তমানে সব ধারাবাহিকে দেখানো হয় যে, একজন বোন আরেকজন বোনের ক্ষতি করছে, যা দেখতে দেখতে দর্শক ক্লান্ত হয়ে ওঠেন, কারণ ধারাবাহিকে যে গল্প দেখানো হয় তার প্রতিফলন সব সময় বাস্তবেও হয়। সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা অবধি এই সমস্ত ধারাবাহিক দেখতে দেখতে মানুষের মনের অগোচরেও এই সমস্ত অনুভূতিগুলি কাজ করে, তাই একজন বোনে সুখের সংসার দেখে অপর বোনকে যখন হিংসায় জ্বলতে দেখে মানুষ তখন মানুষ ভাবে এটা বোধহয় খুব স্বাভাবিক।

তাই, দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিকে এই রকম নেতিবাচক জিনিসপত্র দেখানোর বিরোধিতা করে এসেছেন মানুষ, পাশাপাশি ধারাবাহিকে যখন কোন সুস্থ স্বাভাবিক সুন্দর সম্পর্ক দেখানো হয় তখন সেই সম্পর্ক দেখে দর্শক প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। কারণ ধারাবাহিকে সচরাচর এরকম সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্ক চোখে পড়ে না।
ঠিক যেমন স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক সন্ধ্যা তারাতে দেখা যাচ্ছে যে,সন্ধ্যা এবং তারা দুজনেই একটি পুরুষ মানুষকে ভালোবাসে, তার নাম আকাশনীল। কিন্তু তারা যখন জানতে পারে যে তার মেজদি তার ভালোবাসার মানুষটিকে ভালোবেসে ফেলেছে তখন সে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় যে সে তার ভালোবাসা ত্যাগ করবে। এই বিষয়টি বাস্তবে ভীষণ স্বাভাবিক হলেও ধারাবাহিকে যেহেতু এরকমটা দেখা যায় না তাই তারার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছেন দর্শক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“সন্ধ্যাতারা
তারা জেনে গিয়েছে ওর আকাশ কে ভালোবেসেছে সন্ধ্যা!কিন্তু তারার সন্ধ্যার প্রতি ভালোবাসা এতটাই অগাধ যে তার ভালোবাসা আকাশকেও ছাড়তে রাজি
বর্তমানে সিরিয়াল জগতে এমন বোনের জুড়ি মেলা ভার
সত্যই দুই বোনের বন্ডিং দেখলে রিল থেকে কখন যে রিয়েলে চলে যায় বুঝতে পারি না যাহোক,ভালোবাসার মানুষ কে ছাড়া কতটা কষ্টের সেটা যারা ছাড়ে তারা জানে!ঠিক এমনই চরিত্রে দূর্দান্ত অভিনয় করছে অমৃতা