সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কত কিছুই না প্রকাশ্যে চলে আসে আমাদের। তবে এবার যে ঘটনাটি ঘটল তা একেবারেই তাজ্জব করে দিয়েছে সবাইকে। সাধারণত আমরা জানি, একজন মহিলার প্রেগন্যান্সির বয়স শুধুমাত্র ৫০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী। খুব কম মহিলাই ৪০ বছরের পর মা হতে পারেন, কিন্তু হরিয়ানার ৭২ বছরের এক বৃদ্ধা অস্বাভাবিক কান্ড ঘটিয়ে ফেললেন। সমস্ত প্রত্যাশাকে অস্বীকার করে প্রায় ৭২ বছরে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন ওই বৃদ্ধা।
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন তিনি। গত ১৭ এপ্রিল তাঁর বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয়েছে। বৃদ্ধার নাম দলজিন্দর কউর। প্রায় কয়েক দশক ধরে সন্তান নেওয়ার প্রচেষ্টার পর, অবশেষে IVF পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দিলেন দলজিন্দর। ৪৬ বছর ধরে তিনি এবং তাঁর স্বামী সন্তানের চেষ্টার পর আশা হারিয়ে ফেলে চিকিৎসার সাহায্য নেন। এরপর IVF পদ্ধতির মাধ্যমে গর্ভধারণ করেন দলজিন্দর। তবে এই পদ্ধতির খরচা অনেক, দম্পতি খরচ বহন করতে অক্ষম ছিলেন।
কিন্তু দলজিন্দর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।তিনি বলেছিলেন, “যখন আমরা (IVF) বিজ্ঞাপনটি দেখেছিলাম, তখন আমরা ভেবেছিলাম আমাদের এটি চেষ্টা করা উচিত কারণ আমি আমার সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য খারাপভাবে অপেক্ষা করছিলাম।”
হরিয়ানার একটি ফার্টিলিটি ক্লিনিকে দুই বছরে তিনবার আইভিএফ চিকিৎসার পর, তাঁদের বাচ্চা আরমানের জন্ম হয়, যার ওজন 3.9 পাউন্ড হয়। তবে আমি তাঁকে বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দিয়েছিলাম কারণ আমার দুধ ভালোভাবে বিকশিত হচ্ছিল না।” তবে দুঃখজনকভাবে, শিশুর জন্মের কারণে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। তাঁর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। খুব সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। বেশ কয়েকজন ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করেছেন।